আপনার যদি কোনো কিছু হারিয়ে যায় তাহলে সেটি খোজার পূর্বে নিকটস্থ থানায় জিডি বা সাধারণ ডায়েরী করা আবশ্যক। বিশেষ করে যদি ইলেক্ট্রনিক্স বা ডিজিটাল ডিভাইস সেটা হতে পারে মোবাইল ফোন/ল্যাপটপ অথবা অন্যান্য ডিভাইস। এই ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরী করা। সাধারন ডায়েরী বা জিডি করার পর উক্ত থানা পুলিশ এই জিডির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন বা দায়ীত্বরত অফিসারকে অত্র জিডির তদন্ত করতে আদেশ করবেন।
সাধারন ডায়েরী বা জিডি কি?
GD= General Dairy (সাধারণ ডায়েরী) ইংরেজী শব্দ যার সংক্ষিপ্ত রূপ জিডি। জিডি হচ্ছে অপরাধ বিষয়ক বা অন্যান্য সংবাদ (তথ্য) বিষয়ক রেজিষ্ট্রেশন। যা থানায় আইনিভাবে লিপিবদ্ধ রাখা হয়। যদি কখনও কোনো কিছু হারিয়ে যায় বা কেউ তার জীবনে খারাপ কোনো কিছু ঘটার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করে বা কোথাও কোনো অপ্রিতিকর বা ক্ষতি হয়ে যাবে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় তাহলে সেই ব্যক্তি থানায় উক্ত ব্যপারটি জানিয়ে একটি নথি রেজিষ্টার করবে সেটিই হচ্ছে জিডি বা সাধারন ডায়েরী। আমাদের জীবনে বিভিন্ন কারনে এই জিডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যদি কখনও কোনো হুমকির স্বীকার হই বা কেউ স্কুলে গেলে রাস্তায় উক্তত্যের স্বীকার হয় বা কারো কোনো কিছু হারিয়ে গেলে বা যে কোনো বড় ধরনের সমস্যায় আমরা জিডি করার কথা ভাবি। তাই কিভাবে জিডি করবেন এটা নিয়েই আজকের আলোচনা:-
কেন সাধারণ ডায়েরী করা প্রয়োজন?
সাধারণ ডায়েরী হলো থানার আইনি চলমান চিত্র। বিভিন্ন কারনে ও প্রয়োজনে জিডি করা হয়। মামলাযোগ্য নয় এমন কোনো ঘটনা যেমন- কাউকে ভয় ভীতি দেখানো, জীবন নাশের আশঙ্কা বা ধন সম্পত্তির নিরাপত্তার অভাব, কারো বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটার আশঙ্কা, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ইত্যাদি কারনে থানায় জিডি করা হয়।
এছাড়াও কারো কোনো কিছু হারিয়ে গেলে যেমন- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ব্যাংক এর চেক, জমি জমার দলিল, ভিসার কাগজ সহ, বিভিন্ন দরকারি জিনিসপত্র যেমন, গাড়ি, স্বর্ণ, রৌপ্য, মুদ্রা জাতীয় দ্রব্য হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করা হয়।
বখাটে, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন অবৈধ সমাবেশ ইত্যাদির নিরাপত্তার জন্য জিডি করা হয়।
এছাড়াও গৃহকর্মী, দারোয়ান, সিকিউরিটি গার্ড পালিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত, ভাড়াটিয়া ও প্রবাসী সমস্যা, বৈবাহিক সমস্যা সংক্রান্ত ব্যাপরে থানায় জিডি করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী শনাক্ত ও হারানো জিনিস খুজে পাওয়া যায়।
ধরুন- আপনার একটি মোবাইল বা একটি গুরুত্বপূর্ন কাগজ হারিয়ে গেছে। এখন যে এই মোবাইল বা কাগজ নিয়েছে বা পেয়েছে সে যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করে সেই ক্ষেত্রে এই মোবাইলের মালিক অর্থাৎ আপনি দোষি সাব্যস্ত হবেন, আর যদি, মোবাইল বা কাগজ হারানোর সাথে সাথে থানায় জিডি করেন তাহলে আইনি নিয়মে আপনি আইনি সহায়তা পাবেন বা নির্দোষী প্রমান হবেন। তাই মোবাইল বা কোনো কাগজপত্র হারানোর পর সাথে সাথে থানায় জিডি করা এবং সীম উত্তোলন করে ফেলা উচিৎ।
![]() |
অনলাইনে থানায় জিডি করার নিয়ম |
কোথায় ও কিভাবে জিডি করবেন?
যেই থানায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে সেই থানায় সাধারন ডায়েরী করতে হবে। অন্যথায় আইনি ঝামেলা হতে পারে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর জিডি আবেদন করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন জিডি চালু হওয়ার পর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে জিডির কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
জিডি করতে কি কি লাগে?
যেহেতু বর্তমানে অনলাইনে জিডি করতে হয়। সেই জন্য আপনাকে অনলাইন জিডি আ্যাপ এ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো:
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র
- আপনার সচল মোবাইল নম্বর
- আপনার লাইভ ছবি (ফেইস স্ক্যান করার জন্য)
রেজিষ্ট্রেশন করা হয়ে গেলে আপনাকে gd.police.gov.bd ওয়েবসাইট বা Online GD মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করতে হবে। সেজন্য আপনি যেই বিষয়ে জিডি করতে চান সেই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য লাগবে যেমন- যদি মোবাইল হারিয়ে যায় তাহলে আপনার মোবাইলের নাম, আইএমইআই নম্বর, র্যাম, রম, সিরিয়াল নাম্বার, বক্স এর ছবি, মডেল ইত্যাদি বিষয়গুলো। তদরূপ আপনার যেই সমস্যার কারনে জিডি করবেন সেই বিষয়ক তথ্য লাগবে।
অনলাইনে কি জিডি করা যাবে?
হারানো বা প্রাপ্তির জিডি অবশ্যই এখন থেকে অনলাইনে করতে হবে। ইতিপূর্বে সকল ডায়েরী কম্পিউটার দিয়ে টাইপ করে বা হাতে লিখে বা থানার নির্দিষ্ট সাধারন ডায়েরী ফরম পূরণ করে জিডি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে সব ধরনে জিডি অনলাইনে করতে হবে। তবে কিছু সাধারন ডায়েরী যেগুলো মূলত অভিযোগ সেগুলো টাইপ করে থানায় জমা দিতে হয়।
অনলাইনে জিডি করার নিয়ম: Online GD
অনলাইনে সাধারন ডায়েরী বা জিডি করতে হলে আপনাকে Online GD অ্যাপ এর মাধ্যমে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। একবার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিলে ঐ একাউন্ট থেকে একাধিক জিডি বা সাধারন ডায়েরীর আবেদন করা যাবে। তবে অবশ্যই নিজের একাউন্ট থেকে নিজের জন্য জিডি আবেদন করবেন।
অনলাইন জিডি একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন:
অনলাইনে জিডি করার জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইলে Online GD অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমেই জিডির একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এর কাজ কমপ্লিট করতে হবে।
প্রথমে অনলাইন জিডি অ্যাপটি ওপেন করুন। এখানে নিবন্ধন নামে একটি বাটন রয়েছে সেটাতে ক্লিক করুন।
![]() |
অনলাইন জিডি: নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন |
এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার পরিচয় ভেরিফাই করে নিন।
![]() |
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই |
এরপর আপনাকে তথ্যের প্রিভিউ দেখাবে। তথ্য সঠিক হলে এখানে ক্লিক করুন।
![]() |
তথ্য সঠিক থাকলে নিচের বাটনে ক্লিক করুন |
এরপর আপনার ফেইস স্ক্যান করতে হবে। ফেইস পর্যাপ্ত আলোতে গিয়ে স্ক্যান করুন। এবং নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখুন।
![]() |
মুখের অবস্থান মধ্যবর্তি স্থানে রাখুন |
এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে থানা আপনার ছবির সাথে মিলিয়ে সেটা মিল থাকলে নিচের ছবির মতো দেখাবে।
![]() |
ছবি ম্যাচিং হওয়ার পর |
এরপর এখানে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ও নিশ্চিত পাসওয়ার্ড টাইপ করুন। এবং এখানে ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করুন।
![]() |
রেজিস্ট্রেশন সফল হয়েছে। |
এমন সাক্সেস লেখা আসলে আপনার রেজিস্ট্রেশন সফল হয়েছে। এবার আপনি OK বাটনে চাপ দিন। তারপর আপনাকে আরেকটি আ্যাপ ইনস্টল করতে বলবে। সেই অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। তারপর ওই অ্যাপটি ওপেন করুন।
অ্যাপ লিংকঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.opus_bd.lostandfound
এবার আপনি আপনার মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন।
![]() |
একাউন্ট লগইন করুন |
এবার আপনার তথ্য পূরন করুন। এখানে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, গ্রাম ইত্যাদি তথ্য পূরন করুন।
![]() |
আপনার ঠিকানা পূরন করুন |
তারপর এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য দেখাবে।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার স্বাক্ষর দিতে হবে।
![]() |
নিল দাগ দেওয়া অংশে ক্লিক করুন। |
এখানে ক্লিক করার পর আপনাকে স্বাক্ষর দেওয়ার অপশন দিবে। এখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে যেই স্বাক্ষর দিয়েছেন সেই স্বাক্ষর এখানে দিন।
![]() |
সংরক্ষণ করুন |
স্বাক্ষর দেওয়ার পর সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
![]() |
সাবমিট করুন |
এখানে আপনার মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করুন। এবং আপনার ইমেইল আইডি দিন। মোবাইল নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড যাবে। তাই নাম্বারটি সচল রাখুন। এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানে হবে। সেটা ১ মিনিট সময়ের মধ্যে এখানে লিখুন এবং আপডেট বাটনে ক্লিক করুন।
![]() |
মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন |
এরপর ভেরিফিকেশন কোড বসিয়ে আপডেট দিলে ভেরিফিকেশন সফল হয়েছে এমন একটি লেখা শো করবে। এভাবে আপনার অনলাইন জিডি একাউন্ট টি তৈরি করে নিন।
ব্যস, আপনার অনলাইন জিডি একাউন্ট সফলভাবে তৈরি হয়ে গেলো। এবার অনলাইন জিডি অ্যাপ এ লগইন করুন। এবং আপনার যেটা হারিয়ে গেছে সেটা নিবন্ধন করুন। অথবা অনলাইন জিডির ওয়েবসাইট gd.police.gov.bd/ ভিজিট করেও জিডির কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন।
অনলাইন জিডির আবেদন:
অনলাইনে জিডি করতে আপনি Online GD অ্যাপ অথবা জিডির ওয়েবসাইট থেকে জিডি করতে পারেন। দুইটার নিয়ম একই।
চলুন বিস্তারিত দেখে নেই:
প্রথমে অনলাইন জিডির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: https://gd.police.gov.bd/
![]() |
Online GD Website |
এরপর আপনার মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এরপর আপনার সামনে এমন একটি ড্যাসবোর্ড দেখাবে।
![]() |
অনলাইন জিডি ড্যাসবোর্ড |
এখানে অনেকগুলো অপশন রয়েছে যেমন, অপেক্ষমান আবেদন, গৃহিত আবেদন, তদন্তাধীন, নিষ্পত্তি ইত্যাদি। এখানে আপনি যখন প্রথমবার আবেদন করবেন তখন হারানো বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর আবেদন সাবমিট করার পর আপনার আবেদন অপেক্ষমান এ চলে যাবে। এরপর থানা থেকে গ্রহণ করার পর এটা গৃহিত অপশনে চলে যাবে এবং আবেদন বাতিল করা হলে অগৃহিত অপশনে চলে যাবে। এবং তদন্ত শুরু হলে এখানে স্ট্যাটাস দেখাবে। সকল কাজ শেষ হলে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
এখান থেকে বাছাই করুন আপনার কি হারিয়ে গেছে। এখানে আপনার যেটি হারিয়েছে সেটি বাছাই করুন। ধরুন- আমি বাছাই করলাম মোবাইল ফোন
![]() |
এখানের যে কোনো একটি বাছাই করুন |
এরপর আপনার বাছাই করা অপশনের উপর নির্ভর করে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে আপনাকে যেটি হারিয়েছে সেটার সকল বিবরণ দিতে হবে।
একটি ধাপ সম্পন্ন করে দেখানো হলো: এখানে আমি মোবাইল হারিয়েছে সিলেক্ট করলাম। এবার আমাকে মোবাইল এর তথ্যের একটা ফরম দেওয়া হবে। সেটা পূরণ করতে হবে।
![]() |
সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন |
এখানে আমার হারিয়ে যাওয়া জিনিসের বিপরিতে উক্ত ফরমটি দিয়েছে। এটি সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এরপর এটার সাথে যায় এমন ছবি আপলোড দিতে বলবে। যেমন- কোনো জিনিস হারানোর ক্ষেত্রে এটার ছবি, সংশ্লিষ্ট কগজপত্র, ক্যাশ মেমো, ওয়ারেন্টিকার্ড ইত্যাদি জিনিস পত্র। বা কোনো দলিলের ক্ষেত্রে সেটার হস্তান্তর এর কাগজ ইত্যাদি। এরপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
এভাবে আপনাকে যতগুলো ধাপ দিবে সেগুলো পূরণ করতে হবে। এখানে কিছু বিষয় অপশনাল থাকবে সেগুলো পূরণ না করলেও হবে।
![]() |
আবেদন প্রিভিউ ও ফাইনাল সাবমিট |
আবেদন ফরম পূরণ করে করে পরবর্তী ধাপে আপনাকে আবেদনের প্রিভিউ দেখাবে এখানে সবকিছু ঠিক থাকলে চেক বক্স এ টিক মার্ক দিন এবং আবেদন ফাইনাল সাবমিট করুন। সাবমিট করার সময় আপনার মোবাইল নম্বর এ একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে, সেটি ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এরপর আপনার আবেদনটি অপেক্ষমান তালিকায় চলে যাবে। ওয়েবসাইটের ড্যাসবোর্ডে অপেক্ষমান বাটনে ক্লিক করুন।
![]() |
আবেদন বাটনে ক্লিক করুন |
এরপর আপনাকে আবেদন বাটনে ক্লিক করলে অনলাইন জিডির ড্রাফ্ট কপি দেওয়া হবে। এবং সেটি নিয়ে চাইলে আপনি থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। তবে থানায় উক্ত জিডি অটোমেটিকভাবে গৃহিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনাকে থানায় যেতে হতে পারে।
![]() |
অনলাইন জিডি নমুনা কপি |
মোবাইল দিয়ে Online GD অ্যাপ এর মাধ্যমেও একই নিয়মে জিডির আবেদন করতে পারবেন।
শেষ কথা
জিডি করতে কোনো টাকা পয়সা লাগে না তাই এভাবে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে জিডি করে নিতে পারবেন। তাই কোনো কিছু হারিয়ে গেলে সাথে সাথে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে রাখবেন ভবিষ্যতের সূরক্ষার জন্য এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পাওয়ার জন্য। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। এগুলো যেমন মারাত্বক প্রভাব রয়েছে তেমনই ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।