জাপান ভিসা আবেদন করার নিয়ম, জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, ব্রাজিল, জাপান ভিসা আবেদন

জাপানের বর্তমান সরকার একটি সম্পূর্ণ নতুন ইলেকট্রনিক ভ্রমণ ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যাতে ওই দেশে ভ্রমণের জন্য আসা প্রতিটি পর্যটক অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ পর্যটক জাপান ভ্রমণে আসেন। তাই এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের সঙ্গে জাপান সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে প্রক্রিয়াটি সহজ করতে চাইছে। 

জাপান ভ্রমণের জন্য যখন ই- ভিসা চালু করা হবে তখন বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের জাপান ভ্রমণের জন্য ই ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধরীদের জন্য জাপান ভিসা সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। স্বল্প মেয়াদী ভিসা এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা। বাংলাদেশের নাগরিকরা সাধারণত বেশ কিছু ধরনের জাপান ভিসা পেতে পারে। সেগুলো হলো:

  • জাপান স্টুডেন্ট ভিসা: সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং এর সময় লাগে ২-৩ মাস। ভিসার মেয়াদকাল ৩-৪ বছর পর্যন্ত। 
  • জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: এই ভিসা স্বল্প মেয়াদী ভিসা এবংপ্রসেসিং এর সময় লাগে ৫-১০ কার্য দিবসের মতো। ভিসার মেয়াদকাল পাঁচ বছর।
  • জাপান টুরিস্ট ভিসা: এই ভিসা প্রসেসিং এর সময় প্রায় ১০ দিন। ভিসার মেয়াদকাল ৩ মাস। জাপান ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা: এই ভিসা প্রসেসিং এর সময় ৯ থেকে ১০ কার্যদিবস। এবং ভিসার মেয়াদকাল পাঁচ বছর।
জাপান ভিসা আবেদন করার নিয়ম,  জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, ব্রাজিল, জাপান ভিসা আবেদন japan visa application form bangladesh
জাপান ভিসা আবেদন করার নিয়ম,  জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, ব্রাজিল

জাপান ভিসা হাতে পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। তবে এক এক ধরনের ভিসার জন্য এক এক ধরনের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। জাপান ভিসা তৈরির জন্য সাধারণত যে ধরনের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তা হল:

  • আপনার আসল জন্ম নিবন্ধন
  • মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন পত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া

ভিসা হলো একটি অনুমতি পত্র। জাপানি নাগরিক অন্য দেশে অবস্থানের জন্য এবং প্রবেশ করার জন্য জাপান ভিসা ব্যবহার করে থাকে। জাপান ভিসা ছাড়া ঐ দেশের নাগরিক অন্য দেশে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে পারবে না। 

See also  ট্রেনের টিকেট কাটার নতুন নিয়ম e Ticket Railway bd Train Ticket bd

ক্রোয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য জাপানের নাগরিক সাধারণত জব ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নাগরিকদের জন্য ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য কোন ভিসার দরকার পড়ে না। জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া তে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই থাকতে পারবে। কিন্তু তার জন্য আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে।

এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে ছয় মাস থেকে অন্তত এক বছর পর্যন্ত। সেই সাথে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং আপনার যাবতীয় ডকুমেন্ট অবশ্যই সঠিক হতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই জাপান ভিসা ক্রোয়েশিয়া এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জাপান ভিসা স্পেন

স্পেনের নাগরিকদের জন্য জাপান ভ্রমণের সময় ট্যুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হয় না। স্প্যানিশ নাগরিকদের জন্য জাপানের ভিসা ফ্রি। এই  ভিসার সাথে সাধারণত ৯০ দিনের সময়কাল থাকে এবং ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। জাপান ভিসা স্পেন এর জন্য বিনামূল্যে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হয় না।

বিনামূল্যে জাপান ভিসা আবেদনের জন্য মোট তিনটি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।বিদেশী নাগরিকদের জন্য সফলভাবে তাদের ভিসা পেতে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। ইমেল খুবই প্রয়োজনীয় কারণ ইটিয়াস- এর স্থিতি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। জাপান ভিসা স্পেন এর জন্য তিনটি জিনিস অতীব প্রয়োজন। সেগুলো হলো:

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট।
  • একটি ভ্যালিড ইমেইল এড্রেস।
  • একটি ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড

জাপান ভিসা স্পেন তৈরির জন্য উপরে উক্ত ডকুমেন্টগুলো ছাড়াও আপনার যাবতীয় তথ্য সঠিক বলে প্রমাণিত হতে হবে।

জাপান ভিসা ব্রাজিল

জাপান ভিসা ব্রাজিলের জন্য অনলাইনে ই-ভিসার আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এর অর্থ আপনাকে জাপানের দূতাবাসে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ই-ভিসা হাতে পাবেন। জাপান ভিসা ব্রাজিল ৯০ দিনের জন্য বৈধ। এটি একটি একক প্রবেশ ভিসা। জাপানি ভিসা ব্রাজিল পাওয়ার জন্য জাপানি নাগরিকরা যেসব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন তা হল:

  • টুরিস্ট ভিসা।
  • কাজের ভিসা।
  • স্টুডেন্ট ভিসা।
  • ব্যবসায়িক ভিসা।
  • স্ত্রী অথবা নির্ভরশীল ভিসা।
See also  দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৩, দক্ষিণ কোরিয়া লটারি আবেদন ২০২৩ ‍eps. boesl.gov.bd

আপনার ভিসা আবেদনের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কিছু মূল্যবান পরামর্শ রয়েছে। সেগুলো হল:

  • আপনার ডকুমেন্ট স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনি আবেদনপত্রে যে সমস্ত তথ্য প্রদান করেছেন তা যাচাই করুন।
  • আপনার আবেদনে স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, সততাই সর্বোত্তম নীতি।
  • প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং সম্ভাব্য বিলম্বের জন্য আগে থেকেই ভালভাবে আবেদন করুন।

জাপান ভিসা ব্রাজিল হাতে পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই উপরিউক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।

জাপান ভিসা ২০২৩

বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত জাপানে প্রবেশ করছে স্থায়ী আবাসন, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্য। আবার অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য জাপানে প্রবেশ করছে। জাপানে যাওয়ার জন্য জাপান ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাপান সরকার অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য বেশ কিছু জাপান ভিসা প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

বাণিজ্য, পর্যটন, পরিদর্শন, চাকুরী, কনফারেন্সহ উচ্চতর ডিগ্রী এবং মেডিকেল ভিসা। দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্প মেয়াদী দুই ধরনের ভিসার মধ্যে বেশিরভাগ বিভিন্ন দেশের নাগরিক দীর্ঘমেয়াদী জাপান ভিসা পছন্দ করে থাকেন। 

যেসব উদ্দেশ্যে দীর্ঘমেয়াদী জাপান ভিসা সংগ্রহ করা হয় তা হল: পড়াশোনা করার জন্য, চাকরি করার জন্য, এবং স্থায়ী আবাসনের জন্য। আর বিভিন্ন দেশের নাগরিক স্বল্পমেয়াদী ভিসা সংগ্রহ করে সাধারণত ভ্রমণের জন্য, চিকিৎসার জন্য, প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য

জাপান ভিসা জার্মানি

জাপানের নাগরিকরা বৈধভাবে কিছু জার্মানি ভিসা পেয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • জার্মানি এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসা।
  • জার্মানি ট্রানজিট ভিসা।
  • জার্মানি টুরিস্ট ভিসা।
  • জার্মানি মেডিকেল ভিসা।
  • জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা।
  • জার্মানি বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।

উপরে উক্ত ভিসা গুলো জাপান নাগরিক যে কোন সময় অর্থের বিনিময়ে বৈধ উপায়ে পেয়ে থাকে। জার্মানি ভিসার টাইপ ডি এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে ৭৫ ইউরো ফিও জমা দিতে হবে। ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সাধারণত এই অর্থ জমা নেওয়া হয়। জাপান ভিসা জার্মানি হাতে পাওয়ার জন্য অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে।

See also  খতিয়ান অনুসন্ধান: জমির খতিয়ান চেক eporcha gov bd khatian search

জাপান ভিসা আবেদন

জাপান ভিসা আবেদন এর মাধ্যমে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ জাপানে প্রবেশ করে। ২০১৮ সালে জাপানে প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অথবা বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী ভিসায় প্রবেশ করেছিল। ২০২৩ সালে জাপান ভিসা আবেদন আরো সহজ থেকে সহজতার হয়েছে।

ই-ভিসা চালুর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে বলে আশা করা যায়। স্বল্প মেয়াদী ভিসায় জাপানে পানের প্রবেশ করলে তার মেয়াদ থেকে সাধারণত ৯০ দিন। আপনি যদি জাপানে কাজের জন্য যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

পরিশেষে

জাপানি ভিসা আবেদনের আগে অবশ্যই আপনার নথি পত্র ঠিক আছে কিনা তা বিবেচনা করুন। ভুল কাগজপত্র  ব্যবহার করে ভিসা পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে এটি অনেক রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারে। যদিও বর্তমানে ই-ভিসা চালু হওয়ার পর থেকে ভুল ভ্রান্তি সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। 

জাপানি ভিসা আবেদনের জন্য কোনরকম তৃতীয় পক্ষের দ্বারস্থ না হয়ে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন। পর্যাপ্ত সঠিক ডকুমেন্ট ব্যবহার করে জার্মানি ভিসার আবেদন করলে পরবর্তীতে বিভিন্ন আপত্তিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাবেন।